স্বদেশ ডেস্ক:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে দুইজনকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
তারা হলেন- এ ঘটনার প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। এছাড়াও গ্রেপ্তার অপর দুইজন আবদুর রহিম ও রহমত উল্লাহ।
আজ সোমবার দুপুরে র্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। র্যাব-১১’র অধিনায়ক বলেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা হয়৷ পরবর্তীতে গত ৪ অক্টোবর সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ৩৩ দিন পরে এই ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে সেই নির্যাতিতা গৃহবধূ।’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত রাত ২টা ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থানা এলাকার চিটাগাং রোড থেকে মো. দেলোয়ারকে (২৬) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মো. নুর হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার রাতে দেলোয়ার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে নির্যাতনের করে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে৷ এই দেলোয়ার বাহিনী চাঁদাবাজি, মাদক এবং নানা রকমের সন্ত্রাসী কাজের সাথে যুক্ত৷ আগেও দুটি হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন বাদল ও দেলোয়ারসহ অন্যান্যরা তার স্বামীকে বেঁধে রেখেছিলেন। তারা ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা তারা ভিডিও ধারণ করে। গত এক মাস ধরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাবও দিচ্ছিল উল্লিখিত আসামিরা। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে ভিডিওটি ছেড়ে দেয় তারা।